ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় আনাস হত্যা ছয় দিনেও খুনিরা অধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী আনাস ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডের ছয়দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি শোয়াইবুল ইসলাম রুবেলসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের সহপাঠীরা।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায় মহাসড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় সড়ক অবরোধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী। তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন, খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। অচিরেই প্রধান খুনিসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব বিদ্যালয়ে ফিরে গেছে।

তবে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান চকরিয়া নিউজকে জানিয়েছেন, আনাস ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে জড়িতদেরই আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. রিয়াজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এতে সহসাই প্রধান আসামিসহ সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘আনাস হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশ নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে এখানে-ওখানে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু আসামিরা বার বার স্থান বদল করায় গ্রেপ্তারে সফলতা আসছে না। তবে অন্য উপায়ে আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার এজাহারনামীয় আসামি রিয়াজকে আদালতে সোপর্দের পর পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতে আবেদনটির এখনো শুনানি না হওয়ায় রিমান্ড মঞ্জুর হয়নি।’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে রাতে চিরিঙ্গায় ঈদবাজারে শপিং করতে যায় আনাস ও তার বন্ধু আবদুল্লাহ। এ সময় ওত পেতে থাকা ৭-৮ জনের একদল সন্ত্রাসী ধারালো ছুরি নিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে দুজনকে। ছুরিকাঘাতে আনাসের নাড়ি-ভুঁড়িও বের হয়ে যায়। আর আবদুল্লাহকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা। মুমূর্ষু অবস্থায় দুজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আনাস মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আহত আবদুল্লাহ চমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

খুন হওয়া আনাস ইব্রাহিম পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বিনামারা গ্রামের হাফেজ মাওলানা নেছার আহমদের ছেলে। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

পাঠকের মতামত: